Ajker Patrika

কারখানা খোলা রেখে কঠোর বিধিনিষেধের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
কারখানা খোলা রেখে কঠোর বিধিনিষেধের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার রোধে আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কঠোর এই লকডাউন কীভাবে কার্যকর করা হবে সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই।

সাতদিনের কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরের পন্থা ঠিক করতে রোববার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভা হয়।

সভা থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকরে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আদেশ জারি করবে। কখন সেই আদেশ জারি হতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি তিনি।

১৪ এপ্রিল থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে নাকি লকডাউন দেওয়া হবে– এই প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রস্তাবনায় মানুষের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হয়েছে।

লকডাউন বা সাধারণ ছুটি যাই ঘোষণা দেয়া হোক না কেন, ওই সময় শিল্প কারখানাগুলো খোলা রাখা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রথম ধাপের চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতা চলবে ১২ ও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে অপেক্ষাকৃত কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন।

কঠোর লকডাউনে মানুষের চলাচলে কী কী বিধিনিষেধ আরোপিত থাকবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।

লকডাউন বাস্তবায়নে বরাবরের মতো মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে তাদের আওতাধীন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। যদিও এই লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন ও দোকানপাট-শপিংমল খুলে দেওয়ায় লকডাউন কার্যকর হয়নি বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আগের লকডাউনের ধারাবাহিকতায় সোম ও মঙ্গলবার মানুষের চলাচলে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে রোববার বিকালে আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এই দুই দিন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলবে। দোকানপাট ও শমিংমল স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত