Ajker Patrika

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখার দাবি বায়রার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখার দাবি বায়রার

জনশক্তি রপ্তানি খাতকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে বায়রার সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক রিক্রুটিং এজেন্সি হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ফখরুল ইসলাম বলেন, গত ১১ এপ্রিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এই মুহূর্তে প্রায় ২০-৩০ হাজার কর্মী অধিক মূল্যে টিকিট সংগ্রহ করেছে এবং হাজার হাজার বিদেশগামী কর্মী টিকিটের অপেক্ষায় আছেন। এখন হঠাৎ ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় সবাই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বিজিএমইএ করোনা মহামারিতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা চালু রাখতে পারলে জনশক্তি রপ্তানির এই খাতকেও সব কার্যক্রম চালু রাখার সুযোগ দেওয়া উচিত।

ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, এর আগে লকডাউনে হাজার হাজার প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই আবার নতুন করে বিদেশ গমনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুধু ফ্লাইটের অপেক্ষায় আছেন। তারা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ফখরুল ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিধিনিষেধের আট দিন প্রায় ২১ হাজার শ্রমিকের সৌদি আরব, দুবাই, ওমান, কাতার ফ্লাইটের শিডিউল রয়েছে। তাদের প্রতিটি টিকিটের মূল্য ৮০-৯০ হাজার টাকা।

এছাড়া কাতার এবং ওমানের হাজার হাজার যাত্রী লাখ লাখ টাকা দিয়ে কোয়ারেন্টিন হোটেল বুকিং করে রেখেছে, যেগুলো অফেরতযোগ্য। ফ্লাইট না চললে তাদের বড় অংকের লোকসান গুনতে হবে।

রিক্রুটিং এজেন্সি সংশ্লিষ্টরা বলছেন- নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইনসহ শ্রমশক্তি রপ্তানিকারক দেশগুলো লকডাউনের মধ্যেও জরুরি খাত হিসেবে বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো স্থগিত থাকলে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া অনেক কর্মীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সময়মতো না যেতে পারলে নিয়োগকর্তা চাহিদাপত্র বাতিলও করতে পারে। এ কারণে বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সাথে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা পর্যন্ত বিদেশগামী কর্মীদের করোনা বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখার দাবি জানাচ্ছেন তারা।

সংগঠনের সদস্যরা বলেন, মহামারির এই সময়ে বিদেশগামী কর্মীদের কথা ভেবে জনশক্তি রপ্তানির এই খাতকে জরুরি সেবা হিসেবে বিবেচনায় এনে সব ধরনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখা উচিত।  

বায়রার সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বায়রার সাবেক সহসভাপতি আবুল বারাকাত ভূইয়া, রিক্রুটিং এজেন্সি ব্যবসায়ী মোসাম্মৎ লিমা, টিপু সুলতান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত