ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি জানিয়েছিলেন, তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই তিনি একটি সুপার অ্যাপ বাজারে আনবেন। নাম প্রকাশ না করলেও বহুল আলোচিত ওই অ্যাপটিকে তিনি ‘ডিজিটাল দুনিয়ার ফেরারি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
ঘোষণা দেওয়ার পর বহু জল গড়িয়েছে। এসেছে করোনা মহামারি। মহামারির সময় ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের নির্ভরশীলতাও বেড়েছে। অ্যাপ চালুর জন্য সেই সময়টি মোক্ষম হলেও আদানি তা বাজারে আনতে পারেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন কোনো জটিলতা না হলে অ্যাপটি শিগগিরই বাজারে আসবে।
আজ বৃহস্পতিবার ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ওই মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আদানির এয়ারপোর্ট নেটওয়ার্কসহ তাঁর গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সেবার সঙ্গে যুক্ত হবেন ভোক্তারা।
ভারতজুড়ে অন্তত সাতটি বিমানবন্দর পরিচালনা করে আদানি গ্রুপ। এ ছাড়া মুম্বাইয়ে দ্বিতীয় আরেকটি বিমানবন্দর স্থাপন করতে যাচ্ছে তারা।
বলা যায়, ভারতের প্রায় ২০ শতাংশ বিমান চলাচল বর্তমানে আদানির কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়া যে শহরগুলোতে তাঁর এয়ারপোর্ট রয়েছে সেই শহরগুলোতে ট্যাক্সি সেবা দিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছেন তিনি। এসব সেবা গ্রহণের জন্য মোবাইল ফোনে নতুন অ্যাপটিকে ডাউনলোড করতে হবে গ্রাহকদের। আপাতত এটাই হচ্ছে আদানির প্রথম পদক্ষেপ।
এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পদক্ষেপটি হবে আরও কৌশলী। আদানি গ্রুপের অন্য সেবায় ভোক্তাদের ফিরিয়ে আনাই হবে সেই কৌশলের লক্ষ্য।
কেনাকাটা, অর্থ প্রদান, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়কে এক মোড়কে আনা হলো চীনা মডেল। তবে এই মডেলে চীনা কোম্পানি আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড গত ত্রৈমাসিক হিসাবে লোকসানের কথা জানিয়েছে। এ ধরনের মডেল ভারতের ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ, বিশ্বজুড়ে দেখা যাচ্ছে, অর্থনীতি আবার সচল হলেও মহামারির সময় জনপ্রিয়তা পাওয়া কিছু বিশেষ বিভাগ, যেমন—শিক্ষা, সৌন্দর্য এবং ফ্যাশনবিষয়ক উদ্যোগগুলো হয় ম্লান হয়ে যাচ্ছে, নয়তো আগের মতো দৃঢ়ভাবে বাড়ছে না। অ্যামাজনের মতো কোম্পানি ইতিমধ্যেই খাবার সরবরাহের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বৃহত্তম ডিজিটাল পেমেন্ট প্রদানকারী ‘পেটিএম’-এর শেয়ারমূল্য গত এক বছরে ৭৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, অনলাইনে মুদি কেনাকাটা ক্রমেই বাড়লেও আদানির আগেই বাজার দখল করে রেখেছে টাটা গ্রুপের ‘বিগ বাস্কেট’ এবং মুকেশ আম্বানির ‘জিওমার্ট’। দ্রুত বাড়ন্ত ফার্মেসিসেবাও আম্বানির ‘নেটমেডস’ এবং ফ্লিপকার্টের ‘হেলথ প্লাস’ নেতৃত্ব দিচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, এমন পরিস্থিতিতে আদানির নতুন অ্যাপ কত দ্রুত বাজার দখল করতে পারবে—যেখানে বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিতরণ এবং ভোজ্যতেল বাদ দিয়ে, তাঁর সাম্রাজ্যের বাকি অংশ শুধু খনি, লজিস্টিক এবং অবকাঠামোর ওপর দৃঢ় ফোকাস রেখেছ? এসব বিষয় ভোক্তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার জন্য খুব বেশি সুযোগ দেয় না। এমনকি ১৫৪ বছর বয়সী টাটা গ্রুপ—যেটি লবণ এবং চা থেকে শুরু করে গাড়ি এবং এয়ারলাইনস সবকিছুতেই রয়েছে—ডিজিটাল দুনিয়ার গ্রাহকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে তারাও হিমশিম খাচ্ছে।
শপিং, ট্রাভেল এবং অর্থ প্রদান সেবা-সম্পর্কিত ‘টাটা নিউ’ অ্যাপকে হারানোই শুধু নয়, আদানির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন আম্বানি। মহামারির সময় আম্বানি তাঁর ডিজিটাল সাম্রাজ্য তৈরি করেছিলেন। এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী এই ব্যবসায়ী তাঁর ‘জিও’ মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ৪২ কোটি ৮০ লাখ টেলিকম ব্যবহারকারীর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছেন। বর্তমানে আম্বানি ভারতের ১ নম্বর খুচরা বিক্রেতা এবং আর্থিক পরিষেবাগুলোতেও নজর দিচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেডিট হলো সেই আঠা, যা একটি সফল সুপার-অ্যাপকে একসঙ্গে ধরে রাখে। তবে এটি থেকে অর্থ উপার্জন করা কঠিন। গ্র্যাব হোল্ডিংস লিমিটেডের আর্থিক পরিষেবা বিভাগ গত ত্রৈমাসিকে ৩৮০ কোটি ডলারের পেমেন্ট ভলিউম থেকে মাত্র দুই কোটি ডলার আয় করেছে।
এ অবস্থায় আদানি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনতে নিঃসন্দেহে আক্রমণাত্মক হবেন। আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নতুন শেয়ার বিক্রি করে ২৫০ কোটি ডলার সংগ্রহ করতে চাইছে। এই উদ্যোগ তাঁর নতুন সুপার-অ্যাপকে শক্তিশালী করতে কাজে আসতে পারে। তারপরও বলা যায়, সামনের দিনগুলো আদানির সুপার অ্যাপের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি জানিয়েছিলেন, তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই তিনি একটি সুপার অ্যাপ বাজারে আনবেন। নাম প্রকাশ না করলেও বহুল আলোচিত ওই অ্যাপটিকে তিনি ‘ডিজিটাল দুনিয়ার ফেরারি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
ঘোষণা দেওয়ার পর বহু জল গড়িয়েছে। এসেছে করোনা মহামারি। মহামারির সময় ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের নির্ভরশীলতাও বেড়েছে। অ্যাপ চালুর জন্য সেই সময়টি মোক্ষম হলেও আদানি তা বাজারে আনতে পারেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন কোনো জটিলতা না হলে অ্যাপটি শিগগিরই বাজারে আসবে।
আজ বৃহস্পতিবার ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ওই মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আদানির এয়ারপোর্ট নেটওয়ার্কসহ তাঁর গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সেবার সঙ্গে যুক্ত হবেন ভোক্তারা।
ভারতজুড়ে অন্তত সাতটি বিমানবন্দর পরিচালনা করে আদানি গ্রুপ। এ ছাড়া মুম্বাইয়ে দ্বিতীয় আরেকটি বিমানবন্দর স্থাপন করতে যাচ্ছে তারা।
বলা যায়, ভারতের প্রায় ২০ শতাংশ বিমান চলাচল বর্তমানে আদানির কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়া যে শহরগুলোতে তাঁর এয়ারপোর্ট রয়েছে সেই শহরগুলোতে ট্যাক্সি সেবা দিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছেন তিনি। এসব সেবা গ্রহণের জন্য মোবাইল ফোনে নতুন অ্যাপটিকে ডাউনলোড করতে হবে গ্রাহকদের। আপাতত এটাই হচ্ছে আদানির প্রথম পদক্ষেপ।
এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পদক্ষেপটি হবে আরও কৌশলী। আদানি গ্রুপের অন্য সেবায় ভোক্তাদের ফিরিয়ে আনাই হবে সেই কৌশলের লক্ষ্য।
কেনাকাটা, অর্থ প্রদান, বিনোদন, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়কে এক মোড়কে আনা হলো চীনা মডেল। তবে এই মডেলে চীনা কোম্পানি আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেড গত ত্রৈমাসিক হিসাবে লোকসানের কথা জানিয়েছে। এ ধরনের মডেল ভারতের ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ, বিশ্বজুড়ে দেখা যাচ্ছে, অর্থনীতি আবার সচল হলেও মহামারির সময় জনপ্রিয়তা পাওয়া কিছু বিশেষ বিভাগ, যেমন—শিক্ষা, সৌন্দর্য এবং ফ্যাশনবিষয়ক উদ্যোগগুলো হয় ম্লান হয়ে যাচ্ছে, নয়তো আগের মতো দৃঢ়ভাবে বাড়ছে না। অ্যামাজনের মতো কোম্পানি ইতিমধ্যেই খাবার সরবরাহের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের বৃহত্তম ডিজিটাল পেমেন্ট প্রদানকারী ‘পেটিএম’-এর শেয়ারমূল্য গত এক বছরে ৭৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, অনলাইনে মুদি কেনাকাটা ক্রমেই বাড়লেও আদানির আগেই বাজার দখল করে রেখেছে টাটা গ্রুপের ‘বিগ বাস্কেট’ এবং মুকেশ আম্বানির ‘জিওমার্ট’। দ্রুত বাড়ন্ত ফার্মেসিসেবাও আম্বানির ‘নেটমেডস’ এবং ফ্লিপকার্টের ‘হেলথ প্লাস’ নেতৃত্ব দিচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, এমন পরিস্থিতিতে আদানির নতুন অ্যাপ কত দ্রুত বাজার দখল করতে পারবে—যেখানে বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিতরণ এবং ভোজ্যতেল বাদ দিয়ে, তাঁর সাম্রাজ্যের বাকি অংশ শুধু খনি, লজিস্টিক এবং অবকাঠামোর ওপর দৃঢ় ফোকাস রেখেছ? এসব বিষয় ভোক্তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার জন্য খুব বেশি সুযোগ দেয় না। এমনকি ১৫৪ বছর বয়সী টাটা গ্রুপ—যেটি লবণ এবং চা থেকে শুরু করে গাড়ি এবং এয়ারলাইনস সবকিছুতেই রয়েছে—ডিজিটাল দুনিয়ার গ্রাহকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে তারাও হিমশিম খাচ্ছে।
শপিং, ট্রাভেল এবং অর্থ প্রদান সেবা-সম্পর্কিত ‘টাটা নিউ’ অ্যাপকে হারানোই শুধু নয়, আদানির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন আম্বানি। মহামারির সময় আম্বানি তাঁর ডিজিটাল সাম্রাজ্য তৈরি করেছিলেন। এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী এই ব্যবসায়ী তাঁর ‘জিও’ মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ৪২ কোটি ৮০ লাখ টেলিকম ব্যবহারকারীর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছেন। বর্তমানে আম্বানি ভারতের ১ নম্বর খুচরা বিক্রেতা এবং আর্থিক পরিষেবাগুলোতেও নজর দিচ্ছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেডিট হলো সেই আঠা, যা একটি সফল সুপার-অ্যাপকে একসঙ্গে ধরে রাখে। তবে এটি থেকে অর্থ উপার্জন করা কঠিন। গ্র্যাব হোল্ডিংস লিমিটেডের আর্থিক পরিষেবা বিভাগ গত ত্রৈমাসিকে ৩৮০ কোটি ডলারের পেমেন্ট ভলিউম থেকে মাত্র দুই কোটি ডলার আয় করেছে।
এ অবস্থায় আদানি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনতে নিঃসন্দেহে আক্রমণাত্মক হবেন। আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নতুন শেয়ার বিক্রি করে ২৫০ কোটি ডলার সংগ্রহ করতে চাইছে। এই উদ্যোগ তাঁর নতুন সুপার-অ্যাপকে শক্তিশালী করতে কাজে আসতে পারে। তারপরও বলা যায়, সামনের দিনগুলো আদানির সুপার অ্যাপের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে।
বিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
২৫ দিন আগেশেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
১০ আগস্ট ২০২৫মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
১০ আগস্ট ২০২৫১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
০৯ আগস্ট ২০২৫