আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টর বামপন্থী নেতা মেরিন লা পেনকে হারিয়ে আবারও জিতলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পুনরায় ক্ষমতায় থাকছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ।
গত রোববার চূড়ান্ত পর্বের ভোটে মাখোঁর এ জয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে পশ্চিমারা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে তাদের অন্যতম ‘সৈনিক’ এই মাখোঁ।
আর পুতিনের মিত্র হিসেবে ‘আখ্যায়িত’ উগ্র ডানপন্থী মেরিন লা পেন হেরে যাওয়ায় কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মধ্য দিয়ে পশ্চিমাদের কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরই মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এসে যায়। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এর আগেই অবশ্য রুশ-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব সমাধানে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মাখোঁ। চূড়ান্ত পর্বের জন্য উগ্র ডানপন্থী মেরিন লা পেন টিকে যাওয়ায় কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয় পশ্চিমাদের নিয়ে। লা পেন পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত। যুদ্ধের এ সময়ে মাখোঁ তাঁর কাছে হেরে গেলে ইউরোপের ভবিষ্যৎ ঘুরে যেতে পারত।
এবার ক্ষমতায় আসার আগেই মাখোঁর সামনে এসে হাজির হয়েছে ইউরোপের এ সময়ের সবচেয়ে কঠিন দুইটি চ্যালেঞ্জ।
এক. উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা ন্যাটোতে যোগ দিচ্ছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। দুই. ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিতে চাচ্ছে ইউক্রেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে এ দুটি ইস্যু গভীরভাবে জড়িত। ন্যাটো, ইইউ এবং জি সেভেনের অন্যতম সদস্য দেশ ফ্রান্স। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ইস্যুতে মাখোঁর সম্মতি রয়েছে বলে আশা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর ইইউয়ের ক্ষেত্রে মাখোঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে ইউক্রেনও।
ইউরোপের বাইরে বিশ্ব মঞ্চে ফ্রান্সের ব্যাপক প্রভাব খাটানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবেন মাখোঁ। এর মধ্যে আফ্রিকার মালি থেকে চাদ এবং বুর্কিনা ফাসো পর্যন্ত অভ্যুত্থানের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজবেন তিনি। আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে এখন রাশিয়ার আরও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে ফ্রান্স।
নজর থাকবে মধ্যপ্রাচ্যেও। ফরাসি সামরিক সরঞ্জামের প্রধান ক্রেতা হয়ে ওঠা উপসাগরীয় দেশগুলোয় আরও গুরুত্ব বাড়াবেন তিনি। নজর থাকবে প্রাক্তন ফরাসি উপনিবেশ লেবাননেও, যেখানে ব্যাপক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে।
মাখোঁ বিস্তৃতভাবে সারা বিশ্বে ফ্রান্সকে একটি দৃঢ় এবং নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। তিনি এমন সব জায়গা বেছে নেবেন যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা ব্রাত্য। যুদ্ধের কারণে পুতিনের ‘অনুপস্থিতির’ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবেন মাখোঁ।
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত পড়ুন:
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টর বামপন্থী নেতা মেরিন লা পেনকে হারিয়ে আবারও জিতলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পুনরায় ক্ষমতায় থাকছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ।
গত রোববার চূড়ান্ত পর্বের ভোটে মাখোঁর এ জয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে পশ্চিমারা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে তাদের অন্যতম ‘সৈনিক’ এই মাখোঁ।
আর পুতিনের মিত্র হিসেবে ‘আখ্যায়িত’ উগ্র ডানপন্থী মেরিন লা পেন হেরে যাওয়ায় কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মধ্য দিয়ে পশ্চিমাদের কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরই মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এসে যায়। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এর আগেই অবশ্য রুশ-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব সমাধানে তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মাখোঁ। চূড়ান্ত পর্বের জন্য উগ্র ডানপন্থী মেরিন লা পেন টিকে যাওয়ায় কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয় পশ্চিমাদের নিয়ে। লা পেন পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত। যুদ্ধের এ সময়ে মাখোঁ তাঁর কাছে হেরে গেলে ইউরোপের ভবিষ্যৎ ঘুরে যেতে পারত।
এবার ক্ষমতায় আসার আগেই মাখোঁর সামনে এসে হাজির হয়েছে ইউরোপের এ সময়ের সবচেয়ে কঠিন দুইটি চ্যালেঞ্জ।
এক. উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা ন্যাটোতে যোগ দিচ্ছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। দুই. ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিতে চাচ্ছে ইউক্রেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে এ দুটি ইস্যু গভীরভাবে জড়িত। ন্যাটো, ইইউ এবং জি সেভেনের অন্যতম সদস্য দেশ ফ্রান্স। ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ইস্যুতে মাখোঁর সম্মতি রয়েছে বলে আশা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর ইইউয়ের ক্ষেত্রে মাখোঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে ইউক্রেনও।
ইউরোপের বাইরে বিশ্ব মঞ্চে ফ্রান্সের ব্যাপক প্রভাব খাটানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবেন মাখোঁ। এর মধ্যে আফ্রিকার মালি থেকে চাদ এবং বুর্কিনা ফাসো পর্যন্ত অভ্যুত্থানের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজবেন তিনি। আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে এখন রাশিয়ার আরও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে ফ্রান্স।
নজর থাকবে মধ্যপ্রাচ্যেও। ফরাসি সামরিক সরঞ্জামের প্রধান ক্রেতা হয়ে ওঠা উপসাগরীয় দেশগুলোয় আরও গুরুত্ব বাড়াবেন তিনি। নজর থাকবে প্রাক্তন ফরাসি উপনিবেশ লেবাননেও, যেখানে ব্যাপক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে।
মাখোঁ বিস্তৃতভাবে সারা বিশ্বে ফ্রান্সকে একটি দৃঢ় এবং নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। তিনি এমন সব জায়গা বেছে নেবেন যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা ব্রাত্য। যুদ্ধের কারণে পুতিনের ‘অনুপস্থিতির’ সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবেন মাখোঁ।
বিশ্লেষণ সম্পর্কিত পড়ুন:
বিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
১১ আগস্ট ২০২৫শেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
১০ আগস্ট ২০২৫মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
১০ আগস্ট ২০২৫১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
০৯ আগস্ট ২০২৫