ইয়াসিন আরাফাত
মার্কিন প্রশাসন ২০১৭ সালে গার্টারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে । মার্কিন কর্মকর্তাদেরকে অপসারণ করার জন্য তখন ট্রাম্পের আইনজীবীকে নিয়োগ দেন গার্টলার।মূল্যবান খনিজে সমৃদ্ধ আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। জোসেফ কাবিলার ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বিপুল সম্পদের ভাণ্ডারে বসে ক্ষুধা-দারিদ্র্যে জেরবার এদেশের মানুষ। এর পেছনের খলনায়ক এক ইসরায়েলি ব্যবসায়ী। কাবিলা পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এ ব্যবসায়ীর নাম ড্যান গার্টলার। কাবিলা তাকে কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগও দিতে চেয়েছিলেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি গার্টলারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটি দ্বিতীয় অবরোধ। গার্টলারের বিরুদ্ধে খনি ব্যবসায় দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসন ২০১৭ সালে গার্টলারের বিরুদ্ধে প্রথম নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসময় কিছু মার্কিন কর্মকর্তাকে অপসারণ করার জন্য তখন খোদ ট্রাম্পের আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছিলেন গার্টলার।
দুই দশকে কঙ্গোর সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীতে পরিণত হন গার্টলার। কোবাল্ট, টিন, স্বর্ণ এবং হীরা মজুদ করে তিনি বহুজাতিক খনি কোম্পানির ওপর ছড়ি ঘুরাতেন। গার্টলার প্রেসিডেন্ট কাবিলার গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক দূতও হয়ে উঠেছিলেন। ট্রাম্পের আইজীবী অ্যালান দারশোভিৎসকে নিয়োগ দিয়ে গার্টলার বুঝিয়ে দেন তার ক্ষমতার দৌড়!
ক্ষমতার শেষ কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্প গার্টলারকে তথাকথিত নিষেধাজ্ঞার লাইসেন্স দেন। এর ফলে তিনি জব্দকৃত তহবিল সরিয়ে নিতে এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং লেনদেন ব্যবস্থায় এক বছরের জন্য প্রবেশের সুযোগ পান। তবে চলতি মার্চে এসে গার্টলারের কপাল পোড়ে। বাইডেন প্রশাসন সেই লাইসেন্স প্রত্যাহার করে।
মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কঙ্গো সরকার এবং বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানি মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে কাজ করেন গার্টলার। জোসেফ কাবিলার হয়ে বিভিন্ন কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।
কঙ্গোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি ২০১৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন খাতে কাবিলার নিয়ন্ত্রণ কমতে থাকে। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রও গার্টলারের দৌরাত্ম্যে লাগাম টানার চেষ্টা করে।
ইসরায়েলের হীরা ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম গার্টলারের। ১৯৯৭ সালে কঙ্গোতে যান তিনি। ওই সময় জোসেফ কাবিলার বাবা লরেন্ট-ডিজায়ার কাবিলা প্রেসিডেন্ট হোন।
২০০০ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় কাবিলা সরকার পতনের মুখে পড়ে। গার্টলার তখন কয়েক মিলিয়ন ডলার তহবিল এবং অস্ত্রের জোগান দেন। এর বিনিময়ে কঙ্গোতে একচেটিয়া হীরার ব্যবসা করার সুযোগ পান।
২০০১ সালে বাবাকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন জোসেফ কাবিলা। জোসেফেরও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন গার্টলার।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রুয়ান্ডার সঙ্গে কঙ্গোর যুদ্ধের সময় জোসেফ কাবিলা গার্টলারকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সমর্থন আদায়ই ছিল উদ্দেশ্য। তাতে তিনি সফলও হন। পরে ইসরায়েল থেকে সম্মানসূচক কূটনৈতিক পাসপোর্টও পেয়ে যান গার্টলার।
লবি হিসেবে এই সফতার পর গার্টলার নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলো কঙ্গোতে সব খনির জন্য লাইসেন্স সংগ্রহ শুরু করে। এছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকেও বিপুল অর্থের বিনিময়ে খনিজ আহরণের সুযোগ করে দেন গার্টলার। এসব কোম্পানির মধ্যে অন্যতম ছিল সুইজারল্যান্ডের গ্লেনকোর এবং মার্কিন ওচ-জিফ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। মার্কিন কোম্পানিটির পর্যবেক্ষক কমিশন এক সময় অভিযোগ করে, গার্টলার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রতিযোগীদের হয়রানি করতে চান।
কঙ্গোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে জোসেফ কাবিলার প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি তিনি বিশ্বস্ত কিছু ব্যক্তিকে কঙ্গোর পার্লামেন্ট এবং সরকারে জায়গা দিয়েছেন। ফেলিক্স শিসেকেদির সরকারের আস্থা অর্জনই এখন গার্টলারের বড় চ্যালেঞ্জ!
বিবিসি অবলম্বনে ইয়াসিন আরাফাত
মার্কিন প্রশাসন ২০১৭ সালে গার্টারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে । মার্কিন কর্মকর্তাদেরকে অপসারণ করার জন্য তখন ট্রাম্পের আইনজীবীকে নিয়োগ দেন গার্টলার।মূল্যবান খনিজে সমৃদ্ধ আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। জোসেফ কাবিলার ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বিপুল সম্পদের ভাণ্ডারে বসে ক্ষুধা-দারিদ্র্যে জেরবার এদেশের মানুষ। এর পেছনের খলনায়ক এক ইসরায়েলি ব্যবসায়ী। কাবিলা পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এ ব্যবসায়ীর নাম ড্যান গার্টলার। কাবিলা তাকে কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগও দিতে চেয়েছিলেন বলে জানা যায়।
সম্প্রতি গার্টলারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটি দ্বিতীয় অবরোধ। গার্টলারের বিরুদ্ধে খনি ব্যবসায় দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মার্কিন প্রশাসন ২০১৭ সালে গার্টলারের বিরুদ্ধে প্রথম নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসময় কিছু মার্কিন কর্মকর্তাকে অপসারণ করার জন্য তখন খোদ ট্রাম্পের আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছিলেন গার্টলার।
দুই দশকে কঙ্গোর সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যবসায়ীতে পরিণত হন গার্টলার। কোবাল্ট, টিন, স্বর্ণ এবং হীরা মজুদ করে তিনি বহুজাতিক খনি কোম্পানির ওপর ছড়ি ঘুরাতেন। গার্টলার প্রেসিডেন্ট কাবিলার গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক দূতও হয়ে উঠেছিলেন। ট্রাম্পের আইজীবী অ্যালান দারশোভিৎসকে নিয়োগ দিয়ে গার্টলার বুঝিয়ে দেন তার ক্ষমতার দৌড়!
ক্ষমতার শেষ কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্প গার্টলারকে তথাকথিত নিষেধাজ্ঞার লাইসেন্স দেন। এর ফলে তিনি জব্দকৃত তহবিল সরিয়ে নিতে এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং লেনদেন ব্যবস্থায় এক বছরের জন্য প্রবেশের সুযোগ পান। তবে চলতি মার্চে এসে গার্টলারের কপাল পোড়ে। বাইডেন প্রশাসন সেই লাইসেন্স প্রত্যাহার করে।
মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কঙ্গো সরকার এবং বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানি মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে কাজ করেন গার্টলার। জোসেফ কাবিলার হয়ে বিভিন্ন কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।
কঙ্গোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি ২০১৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন খাতে কাবিলার নিয়ন্ত্রণ কমতে থাকে। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রও গার্টলারের দৌরাত্ম্যে লাগাম টানার চেষ্টা করে।
ইসরায়েলের হীরা ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম গার্টলারের। ১৯৯৭ সালে কঙ্গোতে যান তিনি। ওই সময় জোসেফ কাবিলার বাবা লরেন্ট-ডিজায়ার কাবিলা প্রেসিডেন্ট হোন।
২০০০ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় কাবিলা সরকার পতনের মুখে পড়ে। গার্টলার তখন কয়েক মিলিয়ন ডলার তহবিল এবং অস্ত্রের জোগান দেন। এর বিনিময়ে কঙ্গোতে একচেটিয়া হীরার ব্যবসা করার সুযোগ পান।
২০০১ সালে বাবাকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন জোসেফ কাবিলা। জোসেফেরও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন গার্টলার।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রুয়ান্ডার সঙ্গে কঙ্গোর যুদ্ধের সময় জোসেফ কাবিলা গার্টলারকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সমর্থন আদায়ই ছিল উদ্দেশ্য। তাতে তিনি সফলও হন। পরে ইসরায়েল থেকে সম্মানসূচক কূটনৈতিক পাসপোর্টও পেয়ে যান গার্টলার।
লবি হিসেবে এই সফতার পর গার্টলার নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলো কঙ্গোতে সব খনির জন্য লাইসেন্স সংগ্রহ শুরু করে। এছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকেও বিপুল অর্থের বিনিময়ে খনিজ আহরণের সুযোগ করে দেন গার্টলার। এসব কোম্পানির মধ্যে অন্যতম ছিল সুইজারল্যান্ডের গ্লেনকোর এবং মার্কিন ওচ-জিফ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। মার্কিন কোম্পানিটির পর্যবেক্ষক কমিশন এক সময় অভিযোগ করে, গার্টলার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি এবং প্রতিযোগীদের হয়রানি করতে চান।
কঙ্গোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে জোসেফ কাবিলার প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি তিনি বিশ্বস্ত কিছু ব্যক্তিকে কঙ্গোর পার্লামেন্ট এবং সরকারে জায়গা দিয়েছেন। ফেলিক্স শিসেকেদির সরকারের আস্থা অর্জনই এখন গার্টলারের বড় চ্যালেঞ্জ!
বিবিসি অবলম্বনে ইয়াসিন আরাফাত
বিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
১১ আগস্ট ২০২৫শেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
১০ আগস্ট ২০২৫মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
১০ আগস্ট ২০২৫১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
০৯ আগস্ট ২০২৫